আগ্নেয়গিরি (Volcano) কাকে বলে
ভূপৃষ্ঠের কোনো ফাটল দুর্বল অংশ দিয়ে পৃথিবীর ভূগর্ভ থেকে উত্তপ্ত গলিত পদার্থ নির্গত হয়ে তা সঞ্চিত হয়ে যে পাহাড়ের সৃষ্টি হয় তাকে আগ্নেয়গিরি (Volcano) বলা হয়। আগ্নেয়গিরি থেকে ভূগর্ভস্থ উত্তপ্ত পদার্থের নির্গমন প্রক্রিয়াকে বলা হয় অগ্ন্যুৎপাত এবং আগ্নেয়গিরির যে মুখ বা নির্গমনপথ দিয়ে অগ্ন্যুৎপাত বের হয়ে আসে, তাকে জ্বালামুখ বলে। পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ৬০টির মতো আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত হয়ে তাকে।
আগ্নেয়গিরির প্রকারভেদ (Types of Volcano)
আগ্নেয়গিরিকে প্রধানত তিন প্রকার হয়ে থাকে। যথা–
১। জীবন্ত আগ্নেয়গিরি
যে সকল আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত এখনও বন্ধ হয়নি, সেগুলোকে জীবন্ত আগ্নেয়গিরি বলা হয়। যেমন- “ছিছিলব মাউণ্ট এটনা”।
এছাড়াও, জীবন্ত আগ্নেয়গিরিকে আবার দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে, যেমন- ১। সবিরাম আগ্নেয়গিরি ও ২। অবিরাম আগ্নেয়গিরি৷
সবিরাম আগ্নেয়গিরি
যে সকল জীবন্ত আগ্নেয়গিরি থেকে অবিরামভাবে লাভা নিৰ্গত হয় বা অগ্নিউৎপাত হয়ে থাকে তাকে অবিরাম আগ্নেয়গিরি বলা হয়।
অবিরাম আগ্নেয়গিরি
যে সকল আগ্নেয়গিরি থেকে এটা নিৰ্দিষ্ট সময় পর পর ধোঁয়া, ছাই, গ্যাস বের হয়ে আসে সে সব আগ্নেয়গিরিকে সবিরাম আগ্নেয়গিরি বলে৷ ইটালীর ষ্ট্ৰম্বলী আগ্নেয়গিরিগুলো এ ধরনের আগ্নেয়গিরির অন্তর্ভূক্ত।
২। সুপ্ত আগ্নেয়গিরি
যে সকল আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত অনেক কাল আগেই বন্ধ হয়ে গেছে, কিন্তু যে কোন সময় পুনঃরায় অগ্ন্যুৎপাত সম্ভাবনা আছে, সেগুলোকে সুপ্ত আগ্নেয়গিরি বলা হয়। জাপানের ফুজি পর্বত এর অন্যতম উদাহরণ ।
৩। মৃত আগ্নেয়গিরি
যে আগ্নেয়গিরি অনেককাল ধরে নিষ্ক্রিয় বা বন্ধ হয়ে আছে এবং ভবিষ্যতে কখনও অগ্ন্যুৎপাত হওয়ার সম্ভাবনা নেই, সে সব আগ্নেয়গিরিকে মৃত আগ্নেয়গিরি বলা হয়। যেমন- কিলিমাঞ্জারো, আফ্ৰিকার।
আরও পড়ুন