প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি, প্রমাণ দ্রবণ কাকে বলে ও কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ সংক্ষিপ্ত আলোচনা।
প্রমাণ দ্রবণ কাকে বলে
যে সকল দ্রবণের ঘনমাত্রা সঠিকভাবে জানা থাকে তাকে প্রমাণ দ্রবণ (Standard Solution) বলা হয়। অন্যভাবে বলা যায়, যে দ্রবণে নির্দিষ্ট পরিমানে দ্রব নির্দিষ্ট আয়তন দ্রবণে বা নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্রাবকে দ্রবীভূত থাকে সেই সকল দ্রবণকে প্রমাণ দ্রবণ বলে। সাধারণত আয়তন মাত্রিক বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে মােলার দ্রবণ বা দশমাংশ মােলার দ্রবণ প্রমাণ দ্রবণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
উদাহরণঃ 1M মোলার দ্রবণ হলো একটি প্রমাণ দ্রবণ। কারণ এর নির্দিষ্ট আয়তনে, নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্রব দ্রবীভূত আছে। অর্থাৎ এর ঘনমাত্রা অজানা নয় এবং তা 1M।
প্রমাণ দ্রবণের প্রকারভেদ
প্রমাণ দ্রবণকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন-
- প্রাইমারী বা মূখ্য প্রমাণ দ্রবণ ও
- সেকেন্ডারি বা গৌণ প্রমাণ দ্রবণ।
প্রাইমারী বা মুখ্য প্রমাণ দ্রবণ
বিশুদ্ধ ও শুষ্ক অবস্থায় বিদ্যমান এরূপ পদার্থের একটি নির্দিষ্ট ওজনকে সরাসরি রাসায়নিক তুলাদণ্ডে ওজন করে এবং উপযুক্ত দ্রাবকে দ্রবীভূত করে যে দ্রবণ পাওয়া যায় তাকে মূখ্য বা প্রাইমারী প্রমাণ দ্রবণ বলা হয়। এ ধরনের দ্রবণ অনেকদিন আবদ্ধ অবস্থায় রেখে দিলেও দ্রবণটির মাত্রার কোনো পরিবর্তন হয় না। এরূপ দ্রবণ তৈরিতে ব্যবহৃত পদার্থগুলি বায়ুর প্রতি নিষ্ক্রিয় হয়। অর্থাৎ পদার্থগুলো বায়ু থেকে পানি শোষণ করে না বা বায়ুর CO2 এর সঙ্গে বিক্রিয়া করে না এবং বায়ুর অক্সিজেন দ্বারা সাধারণ উষ্ণতায় জারিত হয় না। উদাহরণ- অনার্দ্র Na2CO3 এর দ্রবণ, পটাশিয়াম ডাইক্রোমেট (K2Cr2O7) এর দ্রবণ।
সেকেন্ডারী বা গৌণ প্রমাণ দ্রবণ
কিছু পদার্থ রয়েছে যাদের সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ ও শুষ্ক অবস্থায় পাওয়া যায় না অথবা যাদের ওজন সরাসরি রাসায়নিক তুলাদণ্ড দ্বারা পরিমাপ করা যায় না। ফলে উপযুক্ত দ্রাবকে দ্রবীভূত করে প্রমাণ দ্রবণ তৈরি করা যায় না। তাছাড়া এসব পদার্থের দ্রবণগুলো অনেকদিন রেখে দিলে দ্রবণের মাত্রার পরিবর্তন হয়ে থাকে। এই সকল পদার্থগুলোকে সেকেন্ডারী বা গৌণ প্রমাণ দ্রব্য বলে এবং এসব দ্রব্য দ্বারা প্রস্তুতকৃত দ্রবণকে সেকেন্ডারী বা গৌণ প্রমাণ দ্রবণ বলা হয়। উদাহরণ : NaOH, HCI, H2SO4, KMnO4 প্রভৃতি।
আরও পড়ুনঃ
